শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

মাদারীপুর শহরে বেড়েছে চুরি আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর শহরে বেড়েছে চুরি আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

সমপ্রতি মাদারীপুর শহরের দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে শহরের জার্মান প্লাজায় একই রাতে তিন দোকানে চুরি হয়েছে। নিয়ে গেছে নগদ টাকাসহ মূল্যাবান জিনিসপত্র। শুধু তাই নয় যাওয়ার সময় চোরচক্র নিয়ে গেছে দোকানের সিসি ক্যামেরা। 

ঘটনার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া মামলাপত্র। আটক হয়নি চোর চক্র। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি তারা চোরচক্রকে গ্রেপ্তারের বিষয় সচেষ্ট রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মাদারীপুর জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে শহরের পুরান বাজার। পুরান বাজারে একাধিক ব্যাংক, বীমা ও হাজারও রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বাজারে গত তিন মাসে কমপক্ষে ৫০টি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। 

সমপ্রতি শহরের পুরান বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে চোরচক্র। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা টের পেলে পালিয়ে যায়। এছাড়াও শহরের সিটি সুপার মার্কেট, মিয়া বঙ্গ মার্কেট, সাধনা ওষাধালয়সহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীদের দাবি পুলিশের টহল জোরদার না থাকার কারণেই বেড়েছে চুরি। এছাড়াও চুরির ঘটনা ঘটলে থানা পুলিশ মামলা নিতেও গরিমসি করে। এতে করে ক্ষোভ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। তবু এখানে পুলিশের কোনো টহল থাকে না। এতে করে চুরির ঘটনা বেড়েছে, জান-মালের নিরাপত্তা না থাকায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দোকানের তালা ভেঙে টাকা পয়সা ও মালামাল নিয়ে গেছে কিন্তু পুলিশ একবারের জন্যও খবর নেয়নি। মালামালও উদ্ধার হয়নি। পুরানবাজারের শফিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কয়েক দিন আগে সোনালী ব্যাংকে চুরির চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা টের পেলে চোর পালিয়ে যায়। পাশের কয়েক দোকানে চুরি হয়েছে তাই আমরা আতংকে আছি। তিনি পুলিশের টহলজোরদার করার দাবি জানান।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, মানুষ সচেতন হওয়ার কারণে থানায় আসতে চায় একারণে আগে যেগুলো রিপোর্ট হতো না সেগুলো রিপোর্ট হয়। একারণে আগের তুলনায় রিপোর্টিংটা বেড়েছে। চুরির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে বলেও দাবি করেন পুলিশ সুপার। মামলা নিতে গরিমসি করার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

টিএইচ