সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

মির্জাপুর বাজারে স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মির্জাপুর বাজারে স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বেশ কয়েকদিন ধরে নরমাল (এনএস) স্যালাইনের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পৌরশহরের ওষুধের দোকানগুলোতে স্যালাইন মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে রোগীরা। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। 

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পর থেকে বাজারে এ স্যালাইন স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ চাহিদা বেড়ে গেছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছে।

জানা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের এই স্যালাইন দিতে হচ্ছে। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চরম সংকট তৈরি হয়েছে। কোম্পানিগুলো বাজারের চাহিদা অনুপাতে উৎপাদন করতে পারেছে না। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পর বাজারে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিতে কিছু অসাধু দোকানি মজুত করে রেখেছেন। 

তারা ৮৭ টাকা দামের স্যালাইন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছে। সাধারণত ডিএ, নরমাল, ডিএনএস, এইচএস, সিএস স্যালাইন বাজারে সরবরাহ থাকে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি এই স্যালাইন সরবরাহ দিয়ে থাকেন। অপারেশনসহ সাধারণ রোগে আক্রান্তদের এই স্যালাইন প্রদান করা হয়। ১০০ টাকার মধ্যে বাজারে এই স্যালাইন বিক্রি হয়ে থাকে। নরমাল স্যালাইনের সংকটের কারণে অন্য স্যালাইনগুলো বেশি দামে বিক্রি করছে ফার্মেসি  মালিকরা।

কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তিরত শিল্পী বেগমের জন্য ডাক্তার নরমাল স্যলাইন লিখেছেন কিন্তু কুমুদিনী হাসপাতালের ফার্মেসিতে নরমাল স্যলাইন নেই পরে তার স্বামী মির্জাপুর বাজারে এক ফার্মেসি থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে স্যালাইন কিনেছেন।      
        
 বেশ কয়েকটি ফার্মেসি দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানিগুলো স্যালাইন সরবরাহ দিতে পারছে না। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ওষুধ কোম্পানি থেকে সরাসরি সরবরাহ পেলেও সাধারণ দোকানিরা মোটেই স্যালাইন পাচ্ছে না। 

এতে নরমাল (এনএস) ৮৭ টাকার স্যালাইন কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মেসি মালিকেদের অভিযোগ সাধারণ দোকানিরা না পেলেও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে স্যালাইনের মজুত রয়েছে। তারা কোম্পানি থেকে সরাসরি কিনে নিচ্ছে। পরে বাজারে সংকট তৈরি ৮৭ টাকার স্যালাইন ৪০০-৫০০ টাকা দামে বিক্রি করছে। 

সাধারণ দোকানিরা স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছে না। ক্রেতারা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। অনেকেই রোগীর জন্য জরুরি প্রয়োজনে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও স্যালাইন পাচ্ছে না।

অরিয়ন কোম্পানির মির্জাপুর মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার মোবারক হোসেন বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে কোম্পানি থেকে যে স্যালাইন তৈরি হচ্ছে তার ৫০% সরকার নিয়ে নিচ্ছে আর বাকি ৫০% সারাদেশে বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, যদি কোন দোকানি বা হাসপাতাল মালিক নির্ধারিত দামের চাইতে স্যালাইনের দাম বেশি রাখে তাহলে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিএইচ