মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষের কারণে ২০ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যে চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আদা, মাছ নারিকেল ও সুপারী ভর্তি চারটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক ওমর ফারুক সিআইপি জানান, প্রায় ২০ দিন বন্ধ থাকার পর ২৫২ টন সুপারি, ৩০ টন আদা, ৫৫ টন নারকেল ও ১০০ টন মাছ মিয়ানমার থেকে চারটি ট্রলারে করে টেকনাফ স্থলবন্দর জেটিতে এসে পৌঁছায়।
তিনি আরও জানান, মিয়ানমারে কিনে রাখা শত শত টন আদা, নারকেল,মাছ, সুপারি আকিয়াব বন্দরে রয়েছে। এগুলো আনা যাচ্ছিল না। ফলে অনেক ব্যবসায়ীর আদা পচেঁ গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী জানান, প্রায় ২০ দিন পর মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে একটি পণ্যবোঝাই ট্রলার এসেছে। ট্রলারে আদা, মাছ, নারকেল ও সুপারি রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আইজিএম জমা দিয়েছে, রাজস্ব প্রদান করে আমদানীকৃত পণ্য খালাস ও সরবরাহ করা হবে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এ এস এম মোশাররফ হোসেন জানান, মিয়ানমারে সমস্যার কারণে অনেক দিন বন্ধের পর চারটি বোঝাই একটি ট্রলার এসেছে। এসব পণ্য আমদানি করেছেন ওমর ফারুক নামক এক ব্যবসায়ী। এসব পণ্য রাজস্ব প্রদান করে খালাস ও সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত গত ১৪ নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো পণ্য আসছে না। একইভাবে টেকনাফ থেকে পণ্য মিয়ানমারে যায়নি। গত ২০ দিনে প্রায় ৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
টিএইচ