অপহরণের পর একাধিকবার ফোন করেও ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেয়ায় যুবক আমির হোসেনকে (২৫) নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় আপহরণকারীরা। এ ঘটনার পাঁচ মাস পর পুলিশ গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আসামি তারেক আহমেদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার স্থানীয় রহিম মোল্লার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণখান থানা পুলিশ। ওই থানার এসআই রেজিয়া খাতুন বিষিয়টি জানিয়েছেন।
হত্যার শিকার আমির হোসেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় তুলাচারা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সে রাজধানীর আশকোনা এলাকায় বসবাস করতো। নিহতের বড় ভাই অপহরণ মামলা করলে পুলিশ গত বুধবার নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তাজুল ইসলাম জামে মসজিদ থেকে আসামি তারেক আহমেদকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার তারেক নাটোর জেলা সদর উপজেলা রুয়েরবাগ গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। পরে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ শ্রীপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বড় ভাই দী বিল্লাল হোসেন জানান, তার ভাই আমির হোসেন গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর আশকোনা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের কয়েকমাস পর সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও সন্ধান পাননি। পরে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল তিনি বাদী হয়ে ডিএমপির দক্ষিণ খান থানায় অপহরণ মামলা করেন।
ডিএমপির দক্ষিণ খান থানার এসআই রেজিয়া খাতুন বলেন, অপহরণকারী তারেক আহমেদ পোশাক শ্রমিক পরিচয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার মনির হোসেনর বাড়ীতে ভাড়ায় উঠে। সে ছিনতাইকারী গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ও সমকামিতা। তার ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আমির হোসেনের সাথে পরিচয় হয়।
এক পর্যায়ে তাকে শ্রীপুরের তার ভাড়া বাসায় আসতে বলে আমির হোসেনকে। তার কথায় বিশ্বাস করে সে ২৫ ডিসেম্বর অপহরণকারীর বাসায় আসে। পরে তাকে আটক করে তার ভাইয়ের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দেয়ায় আমির হোসেনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে রাখেন।
পরে তার পরিবার থেকে অপহরণকারীর সাথে যোগযোগ না করায় তিনদিন পর ২৮ ডিসেম্বর মাওনা বাজার থেকে বস্তা ও রশি কিনে আমির হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
টিএইচ