ভোলার মেঘনা নদীতে নোঙ্গর করে থাকা একটি কার্গোকে ঢাকাগামী তেলবাহী অপর একটি কার্গো ধাক্কা দিয়েছে। এর ফলে তেলবাহী কার্গোটির তলা ফেটে নদীতে অর্ধ-নিমজ্জিত হয়।
এ ঘটনায় জাহাজে থাকা মাস্টার, স্টাফ সহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কার্গোর নাম এসভি সাগর নন্দনি-২। এটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এতে প্রায় ১১ লাখ লিটার ডিজেল ছিলো।
ঘন কুয়াশার কারণে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় নয় কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জাহাজের নাবিকরা জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার ওই জাহাজের নাবিকরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০০ টন অটকেল ও ডিজেল লোড করে চাঁদপুরের ৫ নম্বর ঘাটের পদ্মা ডিপুর উদ্দেশে রওনা হয়। রোববর ভোর ৪টার দিকে ভোলার সদর উপজেলার তুলাতুলি মেঘনা নদীতে আসলে পেছন দিক থেকে আসা আরেকটি জাহাজ তাদের জাহাজটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের পিছনের ইঞ্জিন রুমের কাছে ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করলে জাহাজটি ডুবে যায়। এসময় ও্ই জাহাজে থাকা নাবিকদের চিৎকারে একটি বালুবাহী বলগেট তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করে।
জাহাজের নাবিকরা জানান, জাহাজে যে পরিমাণ তেল রয়েছে তাতে প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ডুবে যাওয়া জাহাজের বেশ কিছু তেল স্থানীয় জেলেরা নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা কেএম শাফিউল কিঞ্জল গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে তারা সকালের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে স্থানীয়রা তেল নেয়ার চেষ্টা করলে কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই সরে যায়। এছাড়াও জাহাজটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
টিএইচ