শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

মেলান্দহে সেতুতে গর্ত ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল  

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি 

মেলান্দহে সেতুতে গর্ত ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল  

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী-রায়গঞ্জ সড়কে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বাগবাড়ী এলাকায় খালের ওপর থাকা সেতুতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ওই সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে ট্রাক, পিকআপ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। প্রায় ১০ বছর আগে একবার সেতুটি সংস্কার করা হয়েছিল। চার মাস আগে সেতুর মাঝখানে একটি বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও এখন তা মেরামত করতে কেউই এগিয়ে আসছে না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। 

সমপ্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ইট ও মাটিবোঝাই ট্রাক্টর ও ভটভটি, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ, অটোরিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশাভ্যানসহ মানুষ চলাচল করছেন। সেতুর গর্তের ওপর একটি বাঁশের লাঠি লাগানোও দেখা গেছে।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ফরিদুল বলেন, প্রায় চার মাস ধরে সেতুর মধ্যে গর্ত হয়েছে। গর্তের এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। কিছুদিন থেকে মালবাহী বড় ট্রাক ও পিকআপ হাজরাবাড়ী হয়ে, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরে জামালপুর শহরে যাচ্ছে। এছাড়া এই সড়কের আশপাশের এলাকায় কয়েকটি ইটের ভাটা রয়েছে, যেখানে চালকেরা ইট ও মাটিবোঝাই ট্রাক নিয়ে যেতে এই সেতু ব্যবহার করেন। এছাড়া মাটি ব্যবসায়ীরা এই সেতুর ওপর দিয়েই প্রতিনিয়ত মাটিবোঝাই ট্রাক আনা-নেয়া করছেন। সেটা এখন করতে পারছে না।

বাগবাড়ী এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, প্রায় চার মাস ধরে সেতুটির মধ্যে গর্ত হয়েছে। প্রথম দিকে ওই গর্তের মধ্যে যানবাহন উঠে পড়ত। পরে স্থানীয় লোকজন গর্তের মধ্যে একটি বাঁশের খুঁটি লাগিয়ে দিয়েছে। সেতুই জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। সেতুর বাঁ পাশের রেলিংগুলোও ভেঙে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি মেরামত বা নতুন সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।

জামালপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ওই সেতু অনেক পুরোনো। ফলে সেটা আর মেরামত করার উপযোগী নয়। সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। সেই অনুযায়ী সার্ভের কাজও শেষ হয়েছে। সুপার-বি প্রজেক্টের মাধ্যমে ওই সেতু নতুন করে নির্মাণের একটি প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে।

টিএইচ