বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে রোববারও (১৫ সেপ্টেম্বর) মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহনের কাজ। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে সারবাহী কয়েকটি জাহাজের পণ্য খালাসের কাজ বলে জানিয়েছেন বন্দরের হারবার বিভাগ।
এদিকে তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতের জলাবদ্ধতা মোংলা শহর ও শহরতলী জুড়ে এক ধরণের বন্যা পরিস্থিতিতে রুপ নিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। ফলে পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চারদিকেই পানি, এমতাবস্থায় ঘরে থাকা ও বাহির হওয়া নিয়েও চরম ভোগান্তীতে সাধারণ মানুষ।
পৌর বাসিন্দারা বলেন, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। এতে ঘরে থাকাটা যেমন দায় হয়ে পড়েছে তেমনি বাহির বের হওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, টানা বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা যেন বন্যার আকার ধারণ করেছে। তারা আরও বলেন, মুলত পানি নামার কোন সুব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই আমাদের ডুবে থাকতে হচ্ছে। অপরদিকে অতি বৃষ্টিতে তলিগেছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৭শতাধিকেরও বেশি চিংড়ি ঘের। ঘের তলিয়ে মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অন্জন বিশ্বাস বলেন, এ বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের চিলা ও জয়মনি এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা ও বিদ্যারবাহন এলাকায়। প্রাথমিক খোঁজখবর বিভিন্ন এলাকার ৭শতাধিক চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এর সংখ্যা আরও হয়তো বাড়বে। আর ঘরের মাছের ক্ষতি নিরুপণে কাজও চলছে বলেও জানান তিনি।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, নিম্নচাপটি ঝড়ে রুপ নেয়ার সম্ভাবনা নেই, বৃষ্টিপাত হয়ে দুর্বল হলেই বিলীন হয়ে যাবে। তবে আগামী দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
টিএইচ