ময়মনসিংহে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অনিয়ম হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলমকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তবে, জেলা প্রশাসক বিষয়টি একেবারেই ভুল বুঝাবুঝি হিসেবে চিহ্নিত করে বলছেন, এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
এদিন, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের হলরুমে বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষ না হওয়ায় অনুষ্ঠানটি এক ঘণ্টা পিছিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকসহ কিছু গণমাধ্যমকর্মী ও পিআইডির অতিথিরা। কিন্তু, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের প্ররোচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আব্দুল্লাহ সেখানে উপস্থিত না হয়ে রাস্তায় চেক বিতরণ করেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম জানান, অনুষ্ঠানটির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু, সঠিক সময়ে মিটিং শেষ না হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হওয়ার কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও জানান, তার রুমে অতিথি ও সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছিলেন, তবে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই তারা জানিয়ে না গিয়ে রাস্তায় চেক বিতরণ করেন, যা তার প্রতি মিথ্যা অভিযোগের জন্ম দেয়।
এ ঘটনার পর কিছু গণমাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ, যার মাধ্যমে তাকে বিতর্কিত করা হয়েছে। সমপ্রতি ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব সংস্কারের আন্দোলন চলমান রয়েছে। ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক তাই তার মাধ্যমে প্রেস ক্লাব সংস্কার কমিটির সাংবাদিক সদস্যরা সুরহা করার দাবি জানিয়েছেন।
প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ছাড়াই অনির্বাচিত কমিটি তাদের কার্যক্রম স্বার্থ হাসিল করতে কিছুদিন যাবত কৌশলী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাদের আত্মীয় স্বজন ও মতাদর্শ ঘরনার সদস্যদের বারবার আর্থিক অনুদান প্রদান করার বিতর্কও রয়েছে।
টিএইচ