মানিকগঞ্জের শিবালয় বালুমহাল ইজারার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও বালু উত্তোলন করে আসছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। বিগত একমাস যাবৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশীয় তৈরি বড় ড্রেজারে (লোড কাটার) বা কাটার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে সরাসরি বাল্কহেড ভর্তি করে লাখ লাখ ঘনফুট বালু বিক্রি করছে।
এছাড়া নদী তীরবর্তী বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে দেশীয় তৈরি ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে বালুদস্যুরা। যার কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানার পর, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব অবৈধ ড্রেজার, কাটার মেশিন ও বাল্কহেডের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবালয় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন।
তিনি ঘটনাস্থল থেকে বালু উত্তোলনের কাজে জড়িত ছয়জনকে আটক করে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহূত অবৈধ ৬টি ড্রেজার, ১টি কাটার মেশিন ও ১টি বাল্কহেড অকেজো করেন।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারীর ম্যানেজার রেজাউল জানান, গতবার ইজারা নিয়ে আমাদের ক্ষতি হয়েছে তাই আমরা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছি। কার নির্দেশে বালু উত্তোলন করছেন এ কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এখানে এমপি থেকে শুরু করে সবাই আছে।
এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পাটুরিয়া নৌ-থানার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিককে বলেন আপনারা অযথা নদীতে গিয়ে বসে আছেন কেন?
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, শিবালয়ে আরিচা এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এ সময় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহূত ৬টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও ১টি কাটার মেশিন ও ১টি বাল্কহেড অকেজো করা হয় এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টিএইচ