যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, যশোরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে খেঁজুরের রস-গুড়ের কোন বিকল্প নেই। এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। খেঁজুর গাছ রোপণ, রক্ষাণাবেক্ষণের পাশাপাশি খেঁজুর গাছ চাষের যাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।
গত রোববার উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের সাঞ্চাডাঙ্গা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বেলনবিলের পাড়ে উপজেলা প্রশাসনের খেঁজুর বাগান প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলের খেঁজুরের রস-গুড়ের ব্রান্ড সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। এর জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত দরকার। যে সকল খেঁজুর গাছ রস দেয় তা কোনভাবে ধ্বংস করা যাবে না। পুরাতন গাছের পাশাপাশি নতুন খেঁজুর গাছ রোপণ করতে হবে এবং তা সকলে মিলে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. এম মোস্তানিছুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদ চৌধুরী, থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ, পৌরমেয়র নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. রফিকুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ, প্রকৌশলী রিসায়াত ইমতিয়াজ, সাব রেজিস্টার মোস্তাক হোসেন শাকিল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুসাব্বির হুসাইন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মিজানুর রহমান, সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবির, তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল আলম লিট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি স্থানীয় সফল খেঁজুর চাষীদের মধ্যে সনদপত্র প্রদান করেন ও খেঁজুর গাছ রোপণ করেন।
টিএইচ