সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

যশোরে যুবকের মরদেহ উদ্ধার 

যশোর প্রতিনিধি 

যশোরে যুবকের মরদেহ উদ্ধার 

যশোর শহরের কাঁসাপট্টি এলাকায় বায়োজিদ হাসান নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ মার্চ) কোতোয়ালি থানার অদূরে যশোর নগর বিএনপির সভাপতি মুল্লুক চাঁদের চালের আড়ত থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পাওনা টাকা উদ্ধারে মারপিট করে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের সনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

নিহত বায়োজিদ হাসান খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বানরগাতি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা মল্লুক চাঁদের ঢাকা অফিসের কর্মী ছিলেন।

যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছেন, নৈশ প্রহরীদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে রাতে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মল্লুক চাঁদের বাড়ি সংলগ্ন চালের আড়তে যান। সেখান থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম বায়োজিদ। তিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মল্লুক চাঁদের ঢাকা অফিসে কর্মরত ছিলেন। 

তার মায়ের বরাত দিয়ে পুলিশ আরো জানায়, বায়োজিদের কাছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পেত তার প্রতিষ্ঠান। ওই টাকার জন্য গত রোববার তাকে খুলনা থেকে ডেকে আনা হয়। এরপর টাকা আদায়ের জন্য তাকে মারপিট করা হয়। চিকিৎসা না দিয়ে তাকে চালের আড়তে ফেলে রাখা হয়েছিল। যাতে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আড়তের নৈশ প্রহরী মোজহার হোসেন জানান, তিনি রাতে আড়তে আসেন। এসময় ওই ছেলেটিকে আড়তের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। লেবারদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন সুস্থ হলে চলে যাবে। এরপর লেবাররা যে যার মত বাড়ি চলে যান। পরে তিনি বিষয়টি ম্যানেজারকে জানালে তিনিও একই কথা বলেন। এরপর তিনি আড়তে তালা দিয়ে বাইরে এসে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ আসলে তিনি দরজা খুলে দেন। এসময় তারা ওই যুবককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং নিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান। তিনি বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে একটি বিরোধের তথ্য পেয়েছি। তবে কি কারণে এবং কে কে এ হত্যায় জড়িত তা সনাক্তে তদন্ত চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হবে।

এদিকে যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ওই যুবক তার ঢাকা অফিসে ইঞ্জি. হিসেবে কাজ করতো। 

সাবকন্ট্রাকটারের মালামাল কেনার ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যায়। ওই টাকার জন্য খুলনা সিটি কর্পোরশেনের একজন কাউন্সিলরের মাধ্যমে দেন দরবার চলছিলো। তাকে কে ডেকে এনেছে বা কে মারপিট করেছে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। তার কর্মীদের সকলের ফোন বন্ধ। তিনি বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন।

টিএইচ