রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২টি ওয়ান শুটারগান, ৪টি তাজা কার্তুজ ও ৬টি ককটেল বিস্ফোরক উদ্ধারসহ ২ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন, পাংশা উপজেলার কুঠিমালিয়াট পশ্চিমপাড়ার মৃত কাদের মণ্ডলের ছেলে মো. কফিল উদ্দিন ওরফে কইফে একই গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে শাওন।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, পাংশার চাঞ্চল্যকর দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী রোজিনা ওরফে আরজিনা হত্যামামলায় মো. শিহাব শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদারের নেতৃত্বে এসআই তারিকুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার রাতে অভিযান পরিচালনা করে।
পাংশা উপজেলার কুঠিমালিয়াট গ্রামের নাছিমা বেগমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. কফিল উদ্দিন ওরফে কইফে ও শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আসামি তুষার বিশ্বাস কৌশলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সামনে স্বীকার করে যে, আসামি মো. কফিল উদ্দিন ওরফে কইফের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার কারণে মো. আলাল হোসেনকে এবং আসামি শাওন ও তার পরিবারের সঙ্গে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে মো. মনিরুল ইসলামকে তারা হত্যা করার পরিকল্পনা করছিল।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানায় সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অস্ত্র ও বিস্ফোরণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েকটি সন্ত্রাসী চক্র ভারতে বসে চুক্তিতে হত্যা, চাঁদাবাজি, মারধরসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। চুক্তিতে গৃহবধূ রোজিনা ওরফে আরজিনা হত্যার ক্লু উদ্ধার করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে এ চক্রের হোতাসহ গ্রুপ। পুলিশ এদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।
প্রেস ব্রিফিংকালে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, এসআই তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ