রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হকের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি ও কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজবাড়ী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক রাজবাড়ী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানাভাবে পাঁয়তারা করছে।
প্রতিনিয়ত কর্মীদের ওপর হামলা, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথুনদিয়া গ্রামের প্রধান নির্বাচনি ক্যাম্পের অদূরে ১০০ গজের মধ্যে মৃগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এতে কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতির সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনার সাথে আরও রয়েছে জেলা পরিষদের সদস্য ইউসুফ মেম্বারের ছেলে সোহেল ও রাসেল, মাঝবাড়ির চরকুলটিয়া গ্রামের আরজু, মৃগী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা দাউদসহ বেশ কয়েকজন।
একই দিন মৃগী ইউনিয়নের নেয়ামতপুর মোড়ে প্রচার মাইকের চালক মো. কলমকে মারধর করে আরজুসহ কয়েকজন। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) মোহনপুর গ্রামের মনছের আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে মারধর করে নৌকার সমর্থক।
তিনি বলেন, নৌকার সমর্থকরা প্রতিনিয়ত অফিসের সামনে দিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছে। যে কারণে আমার কর্মীরা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছে না। মৃগী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, ফাঁকা গুলি ছুড়ে আমার ওপর দোষারোপ করছেন।
তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টিএইচ