রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এমপি বলেছেন, রাজবাড়ীতে ১০৫ একর জমির উপর একটি রেল কারখানা নির্মাণ করা হবে।রাজবাড়ীকে রেলওয়ে ডিভিশন হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাজবাড়ী রেলওয়ের ডিভিশন হলে সর্বস্তরের মানুষের উপকার হবে। সেখানে প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। রাজবাড়ীর রেলস্টেশনের টেন্ডার হয়ে গেছে। এখানে সুন্দর দোতলা ভবন হবে। আমরা চাচ্ছি রাজবাড়ীকে একটা রেলের শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।
রোববার (২৩ জুন) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ী রেলের শহর ছিল। সেই রেলের শহরের বিলুপ্ত হয়েছিল। রেলের শহর হিসেবে রাজবাড়ীর কোন নাম ছিল না।বিএনপির আমলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল। রেল লাইন তুলে বিক্রি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি। স্বাধীনতা হলো আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বঙ্গবন্ধুকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তকারীরা হত্যা করল। আমাদেরকে পিছিয়ে দেওয়া হলো। আর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে চক্রান্ত শুরু হলো। কিন্তু চক্রান্ত বেশিদিন থাকে না, চক্রান্ত বেশি দিন টিকতে পারে না। মিথ্যাচার বেশিদিন টিকতে পারে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতাকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বক্তব্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলো। তারপর সমস্ত রকম ষড়যন্ত্র থেমে গেল। আর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কোনো কথা নাই। বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যার পক্ষে সম্ভব ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া। সর্বস্তরের মানুষকে যুদ্ধে নামানো এবং যুদ্ধে জয়লাভ করানো।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা পদ্মা সেতুর মতো একটা সেতু বানাতে পেরেছি। মেট্রোরেলের মতো একটা জনগণের উপকারী বাহন তৈরি করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আজকে আমরা সহজে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় ট্রেনে পৌঁছাতে পারছি। আমাদের রাজবাড়ী থেকে আরও একটা স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। যেটা রাজবাড়ী থেকে ভাঙা হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। এটা ফরিদপুর থেকে থামানোর জন্য দাবি করছে, সেখানেও থামানো হবে।
এরআগে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রাম, উন্নয়ন ও অর্জনে গৌরবদীপ্ত পথচলায় জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
রেলমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এমপির সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি। সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সহসভাপতি রেজাউল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, মোহাম্মাদ আলী চৌধুরি, সালমা চৌধুরী রুমা, ফখরুজ্জামান মুকুট, হেদায়েত আলী সোহরাব, শফিকুল মোরশেদ আরুজ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শওকত হাসান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতি ও জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
টিএইচ