রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক এমপি, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৭৩ জন নেতাকে আসামি করে রাজশাহী আদালতে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।
গত মঙ্গলবার মামলা করেন উপজেলার ক্ষিদ্রখলশী গ্রামের মৃত. ইয়াসিন আলী সরদারের ছেলে ইয়াদ আলী। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি হলেন ৭৩ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ জুলাই দুর্গাপুর উপজেলার হাটকানপাড়ায় আ.লীগের মনোনীত এমপি প্রার্থী ডা. মনসুর রহমানের নির্দেশে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. নাদিম মোস্তফার নির্বাচনি প্রচারণায় ও নির্বাচনি অফিসে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের মারপিট, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালায় আ.সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্রখলশী গ্রামের মৃত. ইয়াসিন আলী সরদারের ছেলে ইয়াদ আলী বাদী হয়ে রাজশাহীর আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক এমপি ডা. মনসুর রহমান, দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ, দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, সবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মোজাহার আলী।
টিএইচ