ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়কৈবর্তখালি এলাকায় গত ৩০ মে রাতে আশ্রায়ণের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর ৮ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ওই রাতে শিশুটি মায়ের সাথে একই আশ্রায়ণে হালিমের ঘরে যাচ্ছিল তখন বিদ্যুৎ ছিলো না।
পথিমধ্যে মায়ের পিছন থেকে শাহিন শিশুটির মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায় এবং তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে মুখ চেপে ধরে শিশুটিকে নিজ ঘরের সামনে রেখে পালিয়ে যায় শাহিন । শিশুটির মা এজাহার উ্ল্লেখ করেন, ঘটনার পরের দিন (৩১ মে) সকালে রাজাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ফারজানা ববি মিতুর কাছে এসে বিষয়টি জানালে তিনি তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খানের কাছে যেতে বলেন।
তখন ধর্ষণের শিকার শিশুর মা ইউএনও’ র কাছে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিচারের দাবি করেন। সবশুনে ইউএনও অভিযুক্ত শাহিনকে তার অফিসে ধরে নিয়ে আসতে বলেন অভিযোগকারীকে (ধর্ষিতার মাকে)। পরবর্তীতে ৩/৪ দিন অতিবাহিত হলে অভিযুক্ত শাহিনকে না পেয়ে আবারো ইউএনও’কে জানায় শিশুটির মা।
এরপরে শিশুটিকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গত ৮ জুন থেকে ১৪ জুন পযর্ন্ত চিকিৎসাধীন ছিলো ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটি।
চিকিৎসা শেষে ওসিসি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গত ১৫ জুন রাজাপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন শিশুটির মা। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়কৈবর্তখালী এলাকা থেকে অভিযুক্ত শাহিনকে গ্রেপ্তার করে রাজাপুর থানা পুলিশ।
রাজাপুর থানা ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, শাহিনকে গ্রেপ্তার করে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ