রামপালে আলোচিত প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানকে অবশেষে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি এক নোটিশের মাধ্যমে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিতর্কিত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।
চূড়ান্ত বরখাস্তের আদেশে যেসব অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হলো, রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া আমেনা খাতুন (এ,কে) নিম্ন মধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের তহবিল হতে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ১৩ লাখ টাকা উৎকোচ আদায়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, মহিলা শিক্ষিকাদের কুপ্রস্তাব দেয়া, শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা এবং জোরপূর্বক শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে মিড-ডে মিল চালু করে টাকা আদালত করে তা আত্মসাৎ করা।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদ বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের তহবিল পরিচালনা করে সেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান। শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করায় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
বরখাস্তের বিষয়টি জানিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. ওয়ালি উল্লাহ শেখ এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
অভিযোগ ও বরখাস্তের নোটিশের বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল কুদ্দুসের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বরখাস্তের নোটিশের একটি অনুলিপি পেয়েছেন। শিক্ষা বোর্ড বরখাস্তের নোটিশের আলোকে সিদ্ধান্ত নিবেন।
টিএইচ