রামপালে প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আবু সাইদ বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় রামপাল থানায় ২১ জনকে আসামি করে আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং- ৭।
মামলাটি করেন, বাঁশতলী গ্রামের মৃত আ. ওয়াদুদের ছেলে এসকে আল মামুন। এ ঘটনায় রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি উদ্ধার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আ.লীগের সদস্য শেখ মো. আবু সাইদ গত ৫ আগস্টের পরেও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। সে নিজের অবস্থান জানান দিতে এলাকায় আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিল।
ঘটনার দিন গত ১৫ জানুয়ারি উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে এজাহার নামীয় ২১ জনসহ অজ্ঞাত আসামিরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদান করে। এরপরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাতে কালিগঞ্জ বাজারের সোনালি অটো রাইস মিলের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে।
এ সময় প্রধান আসামি শেখ আবু সাইদের হুকুমে অন্য আসামিরা হামলা চালায়। বিএনপি জামায়াতের লোকজন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আবু সাইদের কাছে থাকা পিস্তল, ২নং আসামি ও বাঁশতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী ও ৬নং আসামি কাছে থাকা শর্টগান দিয়ে উপর্যুপরি গুলি ছোড়ে।
ঘটনার বেগতিক দেখে জনতা পিছু হটে। এসময় তারা পুলিশ ও সেনা সদস্যের খবর দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সোনালী অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে এসআই জাহাঙ্গীর সর্টগানের ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড তাজা পিস্তলের গুলি জব্দ করে।
এ সময় আবু সাইদের ছেলে শেখ মাতলুব হোসাইন ও একই এলাকার ইকরামুল হক রাজিবকে আটক করে। ওই সময় কৌশলে প্রধান আসামি আবু সাইদসহ তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা বলেন, আসামি আটক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।
টিএইচ
