নরসিংদীর রায়পুরায় শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় পুত্রবধূ কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত। পুত্রবধূক অনামিকা হাইরমারা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর খানের মেয়ে।
তার বিয়ে হয়েছিল একই ইউনিয়নের মনিপুরা স্কুল সংলগ্ন মামুদপুর এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে কামরুলের সাথে। কামরুল বিয়ের একমাস পর প্রবাসে চলে যায়। তারপর থেকে শুরু হয় তাদের পারিবারিক কলহ। অনামিকার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, কামরুল বিদেশ যাওয়ার পর অনামিকা গর্ভবতী ছিল।
কিন্তু সে তার পরিবারের পরামর্শক্রমে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। এ খবর পেয়ে স্বামী কামরুল ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একদিকে বাপের বাড়ির লোকজনের পরামর্শক্রমে বাচ্চা নষ্ট করা অন্যদিকে কেন বাচ্চা নষ্ট করল শ্বশুরবাড়ির এমন চাপে পুত্রবধূ অনামিকা অনেকটা দিশাহারা হয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরও জানান, অনামিকা বাড়িতে থেকে দা নিয়ে এসে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করে এবং তার শাশুড়ির কাছে আলমারি ও বাইকের চাবি চায়। তার শাশুড়ি চাবি দিতে অস্বীকার করলে সাথে সাথে তার শাশুড়িকে এলোপাতাড়িভাবে কুপাতে থাকে।
এতে শাশুড়ি ডাক চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি করান। পুলিশের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অনামিকা। ঘটনায় রায়পুরা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
রায়পুরা থানার এসআই রাতুল জানান, এলাকাবাসীর দেয়া খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে অনামিকাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রহরায় প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী পুত্রবধূ অনামিকার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
টিএইচ