শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

লক্ষ্মীপুরে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের (মাতৃমঙ্গল) চিকিৎসক রুবিনা আক্তারসহ নার্স-কর্মচারীর বিরুদ্ধে পপি বেগম নামে এক প্রসূতি মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিকিৎসক রুবিনার নাম উল্লেখসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে তার গর্ভের সন্তানকে জারজ বলার অভিযোগ করা হয় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। পপি সদর উপজেলার পালেরহাট এলাকার ফল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ মাসের প্রসূতি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গর্ভবতীর টিকা দেয়ার জন্য মাতৃমঙ্গলে আসেন। পরে কাউন্টার থেকে টিকার কার্ড নিয়ে চিকিৎসক রুবিনার রুমে যান তিনি। এসময় কার্ডে বয়স ভুল (২৭ বছর) উল্লেখ করে পেটে জারজ সন্তান রয়েছে বলে তার সঙ্গে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন ওই চিকিৎসক। এতে প্রতিবাদ করায় চিকৎসক রুবিনা, নার্স শামিমা নাসরিন ও পিয়ন আলম তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে তার গর্ভের সন্তানের বড়ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

পপি বেগম বলেন, চিকিৎসক রুবিনা আমার গর্ভের সন্তানকে জারজ বলেছে। এতে প্রতিবাদ করায় নার্স-কর্মচারীরাসহ তিনি আমাকে মারধর করেছেন। আমার গর্ভের সন্তান মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. নুরুজ্জামান ও নার্স শামিমা নাসরিন জানায়, প্রসূতি গর্ভবতী হওয়ার তারিখ ভূল ছিল। এটি বলায় তিনি চিকিৎসক রুবিনার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা হাতে নিয়ে মারার জন্য তেড়ে যান। এসময় নার্স শামিমা ও পিয়ন আলম চিকৎসককে রক্ষা করেন। পরে প্রসূতিকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাকে কেউ মারেনি। তিনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

চিকিৎসক রুবিনা আক্তার বলেন, ওই প্রসূতির টিকা কার্ডে তার নিজের বয়স ২৭ বছর লেখা ছিল। তার একটি ছেলে আছে ১৩ বছর বয়সের। এতে বয়স ভুল বলায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তার সঙ্গে আমি কোন খারাপ আচরণ করিনি। তাকে মারধরও করা হয়নি। তিনি আমাকে মারতে এলে নার্স ও কর্মচারী তাকে বুঝিয়ে চলে যেতে বলেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। চিকিৎসকরা সরকারি চাকরি করেন। এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে সন্ধ্যায় থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।

কেএস