বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরিঞ্জা ও সুখিয়া দুঃখিয়া পাহাড়ি অঞ্চল ঘিরে বেসরকারি উদ্যোগে শতাধিক পর্যটন রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। যা ইতোমধ্যে দেশি পর্যটকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ফলশ্রুতিতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক পাহাড় ও প্রকৃতির নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এ অঞ্চলে আগমন করেন। আগত পর্যটকদের অধিকাংশই অল্প বয়সী তরুণ-তরুণী ও কিশোর কিশোরী।
দূর-দূরান্ত থেকে আগত এ সব পর্যটকদের অনেকেই পাহাড়ের গহীনে নির্মিত কটেজ বা রিসোর্টে রাত্রি যাপন ও আনন্দ উল্লাস করেন।
যেহেতু লামা উপজেলায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার ঝুঁকি সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত মোটা দাগে পাওয়া যায়নি হয়ত সে কারণেই অনেকটা নিরাপত্তাহীন অথবা নিরাপত্তা ঝুঁকি মাথায় নিয়েই চলছে লামার মিরিঞ্জা ও সুখিয়া দুঃখিয়া অঞ্চলে গড়ে উঠা বেসরকারি বাণিজ্যিক পর্যটন রিসোর্টগুলো।
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী লামার পর্যটন শিল্প ও আগত পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কোন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে এ পর্যন্ত জানা যায়নি।
অতীতে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হয়নি তাই বলে ভবিষ্যতেও হবে না তা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন কোর্ট অফিসার অ্যাড. আরিফ চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- সকলকেই মনে রাখতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গভীর ষড়যন্ত্র চলমান। জিরো পার্সেন্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে কোন সময় এখানে ঘটে যেতে পারে অপহরণ, ধর্ষণ, গুম এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক আচমকা সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার মত ঘটনা। গড়ে উঠতে পারে দেহ ও মাদক ব্যবসার ভয়াবহ সিন্ডিকেট ও মাদক সেবীদের অভয়ারণ্য। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে স্থানীয়দের মধ্যে কানাঘুষা আরম্ভ হয়েছে। আশা করি এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে আমলে নেবেন।
টিএইচ