সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শত শত গো-খামারে দেশি-বিদেশি জাতের ষাঁড় গরু হূষ্টপুষ্টকরণের কাজে ব্যতিব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গো-খামারিরা। দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। বিভিন্ন বাড়ি ও গো-খামারে এবার ৭৬ হাজার ৮৩৪টি ষাঁড় হূষ্টপুষ্ট করছে খামারিরা।
তারা স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি জাতের ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, দেশি শংকর, অস্ট্রেলিয়ান, জার্সিসহ বিভিন্ন জাতের ষাঁড় বাছুর ক্রয় করে হূষ্টপুষ্ট করছেন। মাত্র ৬-৮ মাসে এঁড়ে বাছুর লালন পালন করে কোরবানির ঈদের গরুর হাটে বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়েও বিনিয়োগের চেয়ে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় গো-খামারি মো. শহিদুল ইসলাম ঠাণ্ডু জানান, বিগত বছরের ন্যায় এবারও ফসলের মাঠে কৃষিকাজ বা বাড়ির অন্য কাজের পাশাপাশি গরু হূষ্টপুষ্ট করে অতি অল্প সময়ে স্বাবলম্বী হয়েছি। এ বছর তার ফার্মে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ছোলা, সবুজ ঘাস, খৈল, ভুসি, চিটা গুড়, ছোলা, গম, মসুর, কালাই, খেশারি, জব, ভুট্টা খাওয়ায়েও ১২টি ষাঁড় গরু লালন পালন করছেন।
তার ফার্মের সব চেয়ে বড় ৩০ মন ওজনের সাদা-কালো রঙের পারহা-পারহি ‘অস্ট্রেলিয়ান জাতের ফ্রিজিয়ান’ ষাঁড় গরু এবার এলাকা কাঁপিয়ে তুলছে। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। গো-খাদ্যের মূল্য বিদ্ধিতে দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শাহজাদপুরে লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করছে খামারিরা। এর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৪টি, ছাগল রয়েছে ২১ হাজার ৩৬৫টি ও ভেড়া রয়েছে ১৩ হাজার ৬৪৬টি।
আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ষাঁড় হূষ্টপুষ্ট করার কাজে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা ও ভ্যাকসিন প্রদান করার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বেশি অর্থ আয় করতে পারবে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।
টিএইচ