ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেছেন, শুধু জিপিএ ৫ পাওয়া উদ্দেশ্য নয়, একজন ভালো মানুষ হিসেবে, আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে হবে। সমাজ ও দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।
এজন্য পড়ালেখার পাশাপাশি তোমাদের ভালো মানুষ এবং শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের লুকায়িত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। এ জন্য শিক্ষক অভিভাবকদের দায়িত্ব নিতে হবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে। এখন জীবন গড়ার সময়, এখন থেকে ঠিকভাবে পড়ালেখা করলে জীবনে সফলতা অর্জন সম্ভব হবে।
ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেল স্কুলে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শনিবার শিশু নিকেতন স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোমেনা আক্তার।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা স্কুল অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। স্কুলে আসতে মোবাইল ফোন সাথে দেবেন না। এ বিষয়টি অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফি উল্লাহ, ফেনী সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুন নাহার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শফিউল আলম।
২০২৩ সালে এই স্কুল থেকে ১৩৩ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস ও ৪২ জন জিপিএ ৫ অর্জন করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।
টিএইচ