হত্যা ও ধর্ষণ মামলার জের ধরে, শৈলকুপায় আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে গত বছরের ২৪শে জুলাই কাশিনাথপুর গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী নেতা সাইফুল ইসলামের ছেলে কলেজছাত্র রানা আহমেদকে উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা কুপিয়ে হত্যা করে।
সেই মামলার আসামিরা জামিন নিয়ে বাড়ি এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদি সাইফুল ইসলামকে হুমকি দেয়। অপরদিকে আসামিপক্ষের এক মেয়েকে ধর্ষণের মামলা হয়েছে সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই গ্রুপের ১৫জন আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজছাত্র রানা হত্যা মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম জানান, আসামিরা জামিন হয়ে বাড়ি এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে হুমকি দেয়। আমি মামলা তুলতে রাজি না হয় আজ সকালে আসামি বাবলু খার নেতৃত্বে আসামিরা আমাদের ওপর হামলা করে মারধর করে। এতে আমার আব্বাসহ সাত আট জন গুরুতর আহত হয়।
এ ব্যাপারে মাতব্বর তাজাল খান জানান, সমপ্রতি এক মেয়েকে প্রতিবেশী সাব্বির খানসহ তিন যুবক একাপেয়ে পথের মধ্যে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে। সাইফুল এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাদের উপরে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসে এই ঘটনায় জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।
টিএইচ
