রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

শ্যামনগরে ভরে গেছে অবৈধ কৃষি বিতান

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

শ্যামনগরে ভরে গেছে অবৈধ কৃষি বিতান

শ্যামনগরে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ কৃষি বিতানে ভরে গেছে। তথ্যমতে উপজেলায় ১২ জন বিসিআইসি ডিলারের মাধ্যমে ১০৮ জন সাব-ডিলার থাকার কথা। কিন্তু জরিপে দেখাগেছে, উপজেলায় হাজারখানেক দোকান রয়েছে। 

যদিও প্রতিটি ইউনিয়নে ২ জন করে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার থাকলেও অবৈধভাবে দেদারসে দোকান পরিচালনা করছেন অবৈধ ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে নিম্নমানের সার ও কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। 

বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু দোকানী অন্যের লাইসেন্স ভাড়া বা ক্রয় করে দোকান পরিচালনা করছে। ২০১৮ সালের আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৯নং স্মারকে বলা হয়েছে ‘কোনো ব্যক্তি তাহার লাইসেন্স অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না’ এবং ১০নং স্মারকে বলা হয়েছে ‘কোনো ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করিলে, মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবেন’ এবং পঞ্চম অধ্যায়ের ১ (ক) স্মারকে বলা হয়েছে ধারা ৫, ৬ ও ৭ এর অধীন লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কার্য পরিচালনার অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে নিম্নমানের সার বিষের কারণে তারা ভালো সার-বিষ নির্ণয় করতে অক্ষম। এতে করে বার বার সার-বিষ প্রয়োগ করে সর্বশান্ত হচ্ছে তারা।  
বৈধ ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা বিসিআইসির মাধ্যমে সাব-ডিলার নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি কিন্তু আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি অবৈধ কৃষি বিতানের জন্য।  

তারা নিম্নমানের সার-বিষ কম দামে বিক্রির ফলে কৃষকরা ও আমরা ক্ষতিগস্ত হচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। আমাদের অভিযান পরিচালনা অব্যহত রয়েছে।

টিএইচ