শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরো মৌসুমে ধান কাটার কৃষি শ্রমিক সংকটে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
এলাকায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হওয়ায় ধান কাটার শ্রমিক সংকট প্রকট হয়ে ওঠেছে। গত ২৪ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টির কারণে বেশকিছু এলাকার মাঠের পাকা ধান পড়ে যায় ও নুয়ে পড়ে।
এতে ওই নুয়েপড়া ধান চাষিরা দুই-তিন গুণ বেশি দামে শ্রমিকের মজুরি দিয়ে ধান কাটা-মাড়াই করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই চরম হতাশায় ও অনেকেই বিপাকে পড়েন। বরেন্দ্র অঞ্চলের পত্নীতলা, মহাদেবপুর, ধামুইরহাট, সাপাহার, পোরশাসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে বিঘার পর বিঘা জমির পাকা ধান শ্রমিকের অভাবে ঘরে তুলতে পারছে না চাষিরা।
স্থানীয় ধান চাষিদের মতে, এসব এলাকার ৯০ ভাগ বেশি ধান এখনো জমিতেই রয়েছে। ধান কাটা মাড়াই কাজের জন্য নিয়োজিত স্থানীয় শ্রমিকরা অনেকেই কৃষিকাজ বাদ দিয়ে অটোভ্যান, ভটভুটি ও ব্যাটারি চালিত অটোবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ কারণে প্রায় দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও ধান কাটার শ্রমিক মিলছে না। স্থানীয় এলাকার ধান চাষিরা জানায়, ধান কাটার শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক বেশি দামে শ্রমিক ক্রয় করতে হচ্ছে। চাষিরা আরও জানান, বর্তমান বোরো মৌসুমে মাঠ ভরা পাকা ধান ভালোভাবে ঘরে তুলতে পারেন যেন এটাই প্রত্যাশা করেন।
কোনো কোনো এলাকায় চাষিদের সোনার ফসল চুরি যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এতে চাষিরা হতাশা প্রকাশ করেন। কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলাকায় এক সাথে ধানকাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকট কিছুটা দেখা দিলেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তা কেটে উঠবে বলেও দাবি করেন।
টিএইচ