সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সারিকাইত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পূর্ব পশ্চিমে গুরুত্বপূর্ণ দারুল উলুম সড়কের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই।
মাত্র ৪০০ মিটার কর্দমাক্ত রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে স্কুলের শিক্ষর্থীসহ এলাকাবাসী। তাই ভুক্তভোগীরা সামান্য ওই রাস্তাটি পাকাকরণে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেন।
সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় মারাত্মক কাদার সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি খালি পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এতে আশপাশের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই এ ভোগান্তি যেন আরও বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
পাকাকরণের রাস্তায় শেষ মাথা থেকে কাঁচা অংশ পানি জমে দুর্ভোগ আরও বেশি বাড়ছে সওদাগরের হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা ও স্কুলগামী ছোট ছোট বাচ্চাদের, এ কর্দমাক্ত অংশ পানিতে অনেক শিশু শিক্ষার্থী বই ব্যাগসহ পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত পর্যন্ত হয়।
দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে পশ্চিম সারিকাইত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যন্ত বর্ষাকালে একসময় মানুষ চলা দুরূহ ছিল। গতবছর এ রাস্তার প্রায় ৯০ শতাংশ পাকাকরণ হয়েছে উপজেলা পরিষদে এলজিআরডি ও ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে এখন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে মাত্র ৪০০ ফুট রাস্তার এটি পাকাকরণ হয়ে হেলে এ এলাকায় মানুষের আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।
সরেজমিন জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাসুদ রানা বলেন দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে সারিকাইত বেড়িবাঁধের প্রায় ৯০ শতাংশ রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে, কিন্তু মাত্র ১০ শতাংশ রাস্তায় কার্দমাক্ত হওয়ায় এ এলাকার মানুষ ও স্কুলগামী শিশুরা চরম ভোগান্তিতে আছে। এ রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সারিকাইত ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম পনির ফোন কেটে দেন।
টিএইচ