সন্দ্বীপ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভাই ভাই গলির শেষ মাথায় এবং উপজেলা খাদ্যগুদামের পাশের খালের উপর গত ২ বছর যাবৎ একটি কালভার্টের দুটি অংশের মাঝখানে ভেঙে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ সন্দ্বীপের মানুষ উত্তর সন্দ্বীপে যাতায়াত এবং উত্তর সন্দ্বীপের মানুষ দক্ষিণ সন্দ্বীপের দিকে যাতায়াত করতে এখালের উপর কালভার্টটি ব্যবহার করতে হয়। ২০০০ সালে নির্মিত এ কালভার্টটির উপর এখন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ছে। গতবছর পৌরসভার উদ্যোগে ভেঙে যাওয়া অংশ ২ টি লোহার পাত দিয়ে ও এখন লোহার পাত ও ভেঙে গেছে।
এখন কালভার্টের উপর কোনরকমে একটি মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল চলাচল করতে পারলেও বাকি কোন যানবাহন চলাচল করা যায় না, রিক্সা অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপসহ নানা যানবাহন এখন এ সড়কে চলাচল করা যায় না।
অথচ পৌরসভার শুধু ৮নং ওয়ার্ড ভোটার সংখ্যা ৯ হাজারেরও অধিক। কালভার্ট সমস্যার কারণে এখন এ আবাসিক গলির মানুষের জীবনযাত্রার নিত্যপণ্য আনতে গাড়ি ব্যবহার করতে সোনালী ব্যাংকের গলি হয়ে ঘুরে আসতে হয়। কালভার্টটি সংস্কার করা এখন জরুরি হয়ে পড়ছে।
এ কালভার্ট থেকে একট পূর্বে সন্দ্বীপের একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোমেনা সেকান্দর বালিকা বিদ্যালয়, এ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। একটু দক্ষিণ দিকে সন্দ্বীপ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কোস্টগাট মাঠসহ উপজেলা সদর দপ্তর।
এ এলাকার বাসিন্দা কলেজছাত্র রাকিব বলেন, এতদিন এ কালভার্টের উপর রিক্সা চলাচল করতে পারতো, এখন একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ছে, বিগত ৬ মাস কালভার্টটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেকদিন আবাসিক এলাকা সড়কটি আমরা দুর্ভোগে ছিলাম সেটি পাকাকরণ করা হয়েছে।
কিন্তু কালভার্টের কারণে রাস্তা ব্যবহার করা যায়না, মেয়র বলেছে রাস্তার বাজেট আলাদা কালভার্টের বাজেট আলাদা। এলাকার আরেক বাসিন্দা নেয়ামত উল্ল্যাহ বলেন, এ পরিস্থিতি আজ ৫ বছর চলছে, মোটরসাইকেল বা সাইকেল চলাচল করতে পারে এ ভাঙার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইকেল খালে পড়ে যায়, অন্ধকারে তো চলাচল একেবারে অযোগ্য।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ পৌরমেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম বলেন, এ কালভার্টের পাশে রাস্তারও সমস্যা ছিল সেটি আমারা পাকাকরণ করে দিয়েছি এ কালভার্টটি অনেক ব্যয়বহুল, আগামী বাজেটে এটি আমরা টেন্ডার আহ্বান করে কাজ করে দেব।
টিএইচ