নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ইনাতগঞ্জ কলেজ ও প্রাইমারি স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩শ বন্যার্ত মানুষের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকি। তিনি হবিগঞ্জ জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনের লক্ষে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি গত রোববার খাবার বিতরণকালে তিনি বলেন, সরকারের পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে ত্রাণের জন্য অভাব করতে হবে না। এই বন্যা শেষ নয় বার বার বন্যা আসবে সেই বন্যা মোকাবিলা করতে হবে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বন্যায় সাংবাদিকদের ভুমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তারা ত্রাণ না পৌঁছলে সেই খবর তুলে ধরেন। এলাকাবাসী সার্বিক পরিস্থিতি জেলা প্রশাসককে জানান সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুশিয়ারা ডাইক নিয়ে বন্যার শেষে বসে পরিকল্পনা করা হবে এর স্থায়ী সমাধান কি। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন রোধে আবারও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারের মেগা প্রকল্পে কুশিয়ারা নদী ড্রেজিংসহ ভঙন মেরামত করা হবে। কোন ত্রুটি থাকলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে ২৯৭টি মেডিক্যাল টিম সিলেট বিভাগে কাজ করছে। রাসেল ভাইপার প্রতিরোধে এন্ট্রি ভেনম প্রতিটি উপজেলায় যথেষ্ট পরিমান রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বন্যা কবলিত ও পানি বন্দী এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রভাংশু সোম মহান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপম দাস অনুপ, ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল জাহান চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ছৈইফা রহমান কাকলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ বাহুবল এর সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ, নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলীসহ অন্য অতিথিরা।
টিএইচ
