মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

সাতক্ষীরায় ইছামতীর বেড়িবাঁধ ভাঙনে আতঙ্কে তীরবর্তী এলাকাবাসী 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় ইছামতীর বেড়িবাঁধ ভাঙনে আতঙ্কে তীরবর্তী এলাকাবাসী 

চলতি বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তের ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ-১ এর আওতাধীন দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাতশালা বিশ্বাস পাড়া, ভাতশালা-কোমরপুর স্লুইচগেট, সুশীলগাতি, দেবাহাটা সদর থেকে বসন্তপুরগামী বেড়িবাঁধ ও নাংলা গাংআটি পাড়াসহ ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

 বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভাজনকারী সীমান্তের ইছামতি নদীর প্রবল জোয়ারে এসব এলাকার বেড়িবাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধের কিছুকিছু অংশ নদীগর্ভে ধ্বসে পড়েছে। গত কদিন ধরে বেড়িবাঁধের এসব অংশে ক্রমশ ফাটলের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। এতে করে যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিত এলাকায় বসবাসকারী মানুষ।

ইছামতি নদীর পাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা জানান, ইতোপূর্বে পার্শ্ববর্তী সুশীলগতি, কোমরপুর ও নাংলা এলাকায় সীমান্তের ইছামতি নদীর ভেড়িবাঁধ ভেঙে আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।

এভাবে বারবার বেড়িবাঁধ ভাঙতে থাকলে বসতবাড়ি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে সীমান্তের বাসিন্দাদের। বেড়িবাঁধের এসব ভাঙন পয়েন্ট জরুরিভিত্তিতে কংক্রিটের ব্লক, বালিভর্তি বস্তা ডাম্পিংয়ের পাশাপাশি নদী ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে নদী পাড়ের গ্রামগুলোতে বসবাসকারী বাসিন্দারা বলেন, বাঁধ ভাঙার আগে ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয় না। 

কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকার পাউবো কর্তৃপক্ষ বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেই কেবল ভাঙনকবলিত এলাকায় তা মেরামতের কাজ শুরু করেন। ভাঙনের আগে থেকে তারা তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।

দেবহাটা ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই সীমান্তের ইছামতি নদীর ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

দেবাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আল ফেরদৌস আলফা বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বর্তমানে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি একটু বেশি বাড়ছে। এতে করে সীমান্তের ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ভাঙনকবলিত এলাকা আমি নিজে পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করে জরুরিভিত্তিতে ভাঙন পয়েন্টগুলো মেরামতের কাজ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বরত পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ- ১ এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ভাঙন পয়েন্টগুলো পরিদর্শন করেছি। আপদকালীন কাজ হিসেবে জরুরিভিত্তিতে এসব ভাঙন পয়েন্টগুলো মেরামত করা হবে।

টিএইচ