সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের অন্য এলাকার ন্যায় সাতক্ষীরাতেও বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সুপারি। এক সময়ে বসতবাড়িতে সুপারির গাছ রোপণ করা হতো নিতান্তই পারিবারিক প্রয়োজনে কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বাস্তবতার নিরিখে সুপারি চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কম খরচে এ গাছ পাওয়া যায়।
প্রতিটি গাছে সুপারির ফলন ভালো হয়। হাইব্রীড সুপারি গাছ কৃষকরা রোপণ করছেন। যা উন্নত জাতের এবং অধিক ফলনশীল। সাতক্ষীরার তালা, কলারোয়া, পাটকেলঘাটা, খুলনা চুকনগর, ডুমুরীয়া বিশেষ করে কপোতাক্ষ অববাহিকায় ব্যাপকভিত্তিক সুপারির চাষ হচ্ছে।
জেলার দেবহাটা কালিগঞ্জসহ অন্য উপজেলাগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও এ এলাকাগুলো ব্যাপক সুপারির উৎপাদন হচ্ছে। সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাটাবাজারে বর্তমান সময়ে সুপারির ব্যাপক উপস্থিতি পাইকারিভাবে বিক্রির পাশাপাশি খুচরা মূল্যেও বিক্রি হচ্ছে সুপারি।
জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি শতক সুপারি বিক্রি হচ্ছে একশ বিশ টাকা হতে একশ টাকায়। সুপারি গাছের চারার মূল্য প্রতিটি বিশ পঁচিশ টাকা, রোপণে ও ফলন উৎপাদনে খাটাখাটোনি যৎ সামান্য। রোপণের চার/পাঁচ বছরের মধ্যে ফলন আসে।
যে জমিতে সুপারি গাছ রোপণ করা হয় সেই জমিতে কাটাখন্দক, রবিশষ্যসহ সবজি উৎপাদনে ও চাষাবাদ কোন সমস্যা হয় না। সুপারি গাছ দেখতে দেখতে লম্বা হতে থাকে। ঘর গৃহস্থালীর কাজেও সুপারির গাছ ব্যবহূত হয় বিশেষ করে ঘরের ছাউনি তৈরিতে সেই গাছের অপরিহার্যতা বিশেষভাবে স্বীকৃত। সুপারির ব্যবসার সাথে বর্তমানে সাতক্ষীরার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক নিজদেরকে নিয়োজিত রেখেছে।
একাধিক সুপারী ব্যবসায়ী জানান, সাতক্ষীরার সুপারি বর্তমান সময় রপ্তানির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মূল্যের পাশাপাশি সুপারি মানবদেহের জন্য বিশেষ উপযোগী বটে বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান দাওয়াতী আপ্যায়নে পান সুপারির ব্যবহার হয়ে থাকে। সাতক্ষীরার গ্রামীন অর্থনীতিতে সুপারির বিশেষ ভূমিকা দৃশ্যমান।
টিএইচ