বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

সাতক্ষীরায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা

মাঘের প্রথম দিনেও শীতের তীব্রতায় সমানতালে দেশকে কাহিল করে তুলেছে। কেবল উত্তরে নয় দেশের সর্বত্র শীতের ভয়ানকরুপ কেবল যন্ত্রণাদায়ক নয় চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে জনজীবনকে। সাতক্ষীরাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে তীব্র শীতের দাপটের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের শীতজনিত রোগ যাতে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। 

জেলার সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ উপজেলাভিত্তিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা নিতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তীব্র শীতের কবলে সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ জনপদ, শীতের সঙ্গে বইছে হিমশীতল বাতাস, সপ্তাহব্যপী চলা শীতের তীব্রতায় পুরো প্রকৃতি যেন স্বাভাবিকতা হারিয়েছে। 

রাতে শীতবৃষ্টি আর দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে সড়ক পথ, প্রান্তর, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ঘটছে ছন্দপতন, শীতের সঙ্গে যেন অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছে শীতজনিত রোগ, সাতক্ষীরার ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে সর্দি, ঠাণ্ডাজনিত ভাইরাস জ্বর, পুরাতন রোগীদের পাশাপাশি নতুন রোগী আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায় দেখা দিয়ে অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট, গত কয়েকদিন যাবৎ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। 

হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সর্বাপেক্ষা ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। সর্দি, কাশি, ভাইরাস জ্বরের জন্য জরুরিবিভাগে চিকিৎসা নিলেও, নিউমোনিয়া, হাপানি, ডায়রিয়া রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিচ্ছেন। সেবিকাদের সেবা ও প্রশংসিত হচ্ছে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালে আগত রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। গত দুই তিন দিন যাবৎ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল বহির্বিভাগ পরিদর্শনে দেখা গেছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছেন, শীতের সময়গুলোতে শীতবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া অপেক্ষা প্রতিরোধ সতর্কতা গ্রহণের বিকল্প নেই। 

এ বিষয়ে দেবহাটার সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সাকিব হাসান বাঁধন বলেন, শীতের তীব্রতার অবশ্যই কুসুম গরম পানি পান ও গোসলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে ঠাণ্ডা হতে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। দিনের বেলাতে যেহেতু ঠান্ডা বাতাস বইছে বিধায় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখাই উত্তম। 

এই চিকিৎসক আরও জানান, আমরা প্রতিনিয়ত ঠাণ্ডাজনিত রোগের চিকিৎসা দিচ্ছি অতি আন্তরিকতার সঙ্গে। তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত কোন ওষুধ সেবন না করার আহ্বান জানান। 

সাতক্ষীরা শহর হতে শুরু করে গ্রামের ফান্সীের দোকানগুলোতে অভিজ্ঞ রোগীরা ভিড় করছে এই সুযোগে কোন কোন ফার্মাসিস্ট নিজেরাই চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করে ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ দিচ্ছে যা রিতিমত উদ্বেগের কারণে পরিনত হয়েছে এমন মন্তব্য সচেতন মহলের। 

কৃষকরা জানান, বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে যেন কুয়াশা ও শিশির বিন্দু বীজতলা স্পর্শ না করে। আবহাওয়া দপ্তর শীতের তীব্রতা আপাতত না কমারই আভাস দিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। শীতের কল্যাণে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর ন্যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়ছে। কাজ না থাকায় আবার শীতের কারণে অনেকে হাট বাজারেও আসছে না যে কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। 

টিএইচ