সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ কুদরত ই-খোদার দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে প্যাথলজি বিভাগের মানোন্নয়ন ও রাজস্ব আয় পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিচালক ডা. শেখ কুদরত ই-খুদার পরামর্শে জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোছা. হাফিজা খাতুনের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ইনচার্জ মো. আব্দুল মালেক ও মো. রবিউল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে বিগত ৫ বছরের তুলনায় ল্যাবের রাজস্ব আয় প্রায় ৪/৫ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাশাপাশি সেবা প্রত্যাশীদের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান পরিচালক ডা. কুদরত ই-খোদা। রাজস্ব আয়ের টাকা প্রতিমাসে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয় বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, প্যাথলজিক্যাল রিজেন্ট ও ক্যামিকেল প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ অনেক কম থাকায় সেবা প্রত্যাশীদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পরিপূর্ণ থাকলেও ওষুধপত্রের অভাবজনিত কারণে সেবাদান ব্যর্থ হচ্ছে বলে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান।
বর্তমানে ওষুধপত্রের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে দায়িত্বে থাকা সব বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তারা আরও জানান, চাহিদার তুলনায় সবকিছুর সরবরাহ কম থাকায় বর্তমান সময়ে সেবাপ্রত্যাশীদের সেবাদানে পূর্ণতা দিতে পারছি না বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
ওয়ার্ড মাস্টার মো. ফারুক হসান জানান, জনবল কম থাকার কারণে হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। মাত্র ২০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে এতবড় হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা কোন ক্রমেই সম্ভব হচ্ছে না যে কারণে রোগীদের কাছে নানা ধরনের কটু কথা শুনতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। সব বিষয়ের সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন হাসপাতালের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
টিএইচ