গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিভিন্ন অযুহাতে বাড়ছে সবজী, মাছ, মাংস নিত্যপণ্য, প্রসাধনী, গবাদিপশুর খাদ্যসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম। ব্রয়লার মুরগী সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সকল মাংসের ও মসল্লার দামও। গত এক সপ্তাহ জুড়ে বাজারে পর্যায়েক্রমে বেড়েই চলছে কোন না কোন পণ্যের দাম।
বাজারে ১৩০/১৪০ টাকার ব্রয়লার মুরগী ডাবল সেঞ্চুরি পার করে ২৩০/২৪০ এসে ঠেকেছে। কারণ হিসাবে খামারী ও খুচরা বিক্রেতারা জানায় মুরগীর খাদ্য ও একদিনের মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে গেছে। তার প্রভাব পড়েছে তবু্ও লোকসানে খামারীরা। এদিকে ৬৫০ টাকার গরুর মাংস কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৭০০ টাকায় ও খাসির মাংস ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণ গো খাদ্যের দাম বেশী।
থেমে নেই মসল্লার দাম বৃদ্ধি ২৩০/২৫০ টাকার কেজির জিরা ৫০০/৫৫০ টাকা। লং কালোগোটা, গোলমরিচ, এলাচির দামও বেড়েছে কেজিতে ১০০/১২০ টাকা স্থিতি রয়েছে ধনিয়া, দারুচিনি বার মসল্লা।
সাদুল্লাপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। মাছ-মাংস, তরিতরকারি, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে, বাসা ভাড়াও। নির্মাণ সামগ্রীর দাম দ্বিগুণেরও বেশী হয়েছে বলে ধাপে ধাপে বাসা মালিকরা বাড়াচ্ছে বাড়ি ভাড়া। এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানায় এমন চিত্র শুধু সাদুল্লাপুরের নয়, সারা দেশের। মোকামে সকালে এক দাম, বিকালে আর এক দাম, পুঁজি লাগছে বেশী লাভ হচ্ছে কম।
গবাদিপশু পালনকারী কৃষক, খামারীরা জানায় গো-খাদ্যের বাজারে সকালে এক দাম বিকালে আর এক দাম। গত এক সপ্তাহে আগে এক বস্তা ৫০ কেজি ওজনের গমের ভুষির দাম ছিলো ২ হাজার ৪০০ টাকা তা বেড়ে গিয়ে ৩ হাজার ১৫০ টাকায় পৌঁছেছে। যে হারে বাজারে অস্থিতি অবস্থা বিরাজ করছে তাতে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
বাজারের অস্থিতি অবস্থায় বিভিন্ন অযুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে নিলেও নিরব ভুমিকায় কতৃপক্ষ। সচেতন মহল মনে করে বাজারে কতৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিং না করায় খেয়াল খুশি মত দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ আশা করেন সাধারণ মানুষ।
টিএইচ