বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে এক হোটেলে বিরিয়ানির সাথে ঝোল চাওয়ায় মিঠুন বাঁশফোর (২৫) নামের এক হরিজন সম্প্রদায়ের যুবককে ধাক্কা দিয়ে গরম তেলের কড়াইয়ের ওপর ফেলে দিয়ে ডান হাত ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সান্তাহার এশিয়া হোটেলে ঘটনাটি ঘটে। পরে গুরুতর আহত মিঠুন বাঁশফোরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়া শজিমেকের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। আহত মিঠুন বাঁশফোর নওগাঁ আত্রাই হরিজন পল্লীর মদন বাঁশফোরের ছেলে। সে তার আত্মীয় আদমদীঘির পিন্টু বাঁশফোরের বাড়িতে বেড়াতে আসে। জানা যায়, গতকাল শনিবার রাজশাহীর মিঠুন বাঁশফোর তার আত্মীয় উপজেলার মাঝিপাড়ার পিন্টু বাঁশফোরের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রবিবার বিকেল ৪টায় সান্তাহার এশিয়া হোটেলে মিঠুন বাঁশফোর ও তার আত্মীয় পিন্টু বাঁশফোরসহ তার সঙ্গীরা বিরিয়ানি নিতে যায়। তারা বিরানী নেয়ার পর মাংসের ঝোল বেশি চায়। এ নিয়ে হোটেল কর্মচারি ও হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারধরের একপর্যায়ে জনৈক হোটেল কর্মচারি মিঠুন বাঁশফোরকে ধাক্কা দিলে কড়াইয়ে থাকা ফুটন্ত গরম তেলে সে পড়ে যায়। এতে তার ডান হাতের কনুই থেকে কবজী পর্যন্ত পুড়ে ঝলসে যায়। পিন্টু বাঁশফোর জানায়, আমরা হরিজন সম্প্রদায়ের লোক। সান্তাহার এশিয়া হোটেলে খাবার নেয়ার পর ঝোল চাওয়ায় কর্মচারিরা লাঠি ও সবল দিয়ে মারধর করে কড়াইয়ের গরম তেলে ফেলে দিয়ে হাত পুড়ে দেয়। সন্ধ্যা ৬টায় হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা বলেন, বিষয়টি জানার পর ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।