শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

সাফজয়ী ফুটবলার আঁখির পরিবারকে শাসিয়ে গেল পুলিশ

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ

সাফজয়ী ফুটবলার আঁখির পরিবারকে শাসিয়ে গেল পুলিশ

সাফজয়ী আঁখিদের ঘিরে যখন গোটা দেশ মেতেছে উৎসব-আনন্দে ঠিক তখনই দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে সাফ জয়ী নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনকে। সরকার থেকে পাওয়া জমি ঘিরে আদালতের একটি নোটিশ নিয়ে তার বাবাকে শাসিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা পুলিশের এএসআই মামুন।

এমনই অভিযোগ করেছেন আঁখি ও তার বাবা। নোটিশ গ্রহনের কাগজে সই করতে রাজি না হওয়ায় আখির বাবাকে থানায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঁখি বাবা আখতার হোসেন।

এ ব্যাপারে ডিফেন্ডার আঁখি বলেন, আমার বাবাকে থানা থেকে ধমকিয়েছে একটা পেপার নিয়ে। বলেছে সই করতে হবে। আমার বাবা বাদী বিবাদী কিছুই না হওয়ায় সই করেননি। তখন আমার বাবাকে থানায় নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে আমি যাওয়ার পর থানায় যেতে হবে আমাকেও।

আখির বাবা মুঠোফোনে বলেন, আমি বাদী বা আসামি কোনোটাই না। আমি পুলিশকে বলেছি আপনারা ইউএনও মহোদয় বা ডিসি স্যারের সাথে কথা বলেন। যেহেতু আমি কিছুই না তাই আমি স্বাক্ষর করতে পারবোনা। তখন আমাকে কটূক্তি করেছে তারা। আর এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমি স্বাক্ষর না করলে আমাকে নিয়ে যাবে।

আঁখির বড় ভাই নাজমুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার বিকালে শাহজাদপুর থানা থেকে এএসআই মামুনসহ একটি টিম এসে আমার বাবাকে বলেন, সরকার থেকে আঁখিকে যে জায়গাটা দেওয়া হয়েছে। কোর্টে থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একটি পেপার দেখিয়ে সেখানে বাবাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। বাবা রাজি না হলে নানান রকমের হুমকি দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আঁখিদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোর্টে থেকে একটা নোটিশ এসেছিল। সেই নোটিশে কপিটা এএসআই মামুন আঁখির বাবাকে দিতে গিয়েছিল এবং রিসিভ করে একটা সই দিতে বললে সেখানে আঁখির বাবা সাথে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি আমি শোনার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে এএসআই মামুনকে দিয়ে সরি বলানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে গ্রেপ্তার করার কোনো হুমকি দেওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমি নিজেও।সেখানে ছিলাম। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত ছিল। যেখানে আঁখি আমাদের অহংকার সেখানে তার বা তার পরিবারের সঙ্গে এমন করার কথাই ওঠেনা।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি অভিযুক্ত এএসআই মামুনের সঙ্গেও।

কেএস