বরিশালে একটি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় আড়াই লাখ ডিম দীর্ঘদিন ধরে মজুত রাখায় বুধবার (৩ জুলাই) ৬ ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কৃষিপণ্য মজুত রাখার অপরাধে কোল্ড স্টোরেজ মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহারুখ আলম শান্তনু। একইসঙ্গে ফার্মের মুরগির ডিম এক দিনের মধ্যে এবং হাঁসের মজুত ডিম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল নগরীর হাটখোলার খান কোল্ড স্টোরেজে এ অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে হিমাগারে ডিম রেখে বাজারে সংকট তৈরি করায় ৬ ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও হিমাগার খালি করে ডিম বিক্রি করার শর্ত দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলার সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র ও ইন্দানী দাস।
তিনি জানান, গোপন সংবাদেরভিত্তিতে জানতে পারি, বরিশাল শহরে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে দীর্ঘদিন ধরে হিমাগারে ডিম মজুত রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সত্যতা পাই। আমরা দেখতে পাই, গত মার্চ মাস থেকে হিমাগারে প্রায় আড়াই লাখের বেশি ডিম মজুত করে রাখা হয়েছে আর এখন অধিক লাভে সেই ডিম ধীরে ধীরে বিক্রি করছে যা আইনেবিরোধী।
মজুত রাখায় বাজারে ডিমের কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়ায় ডিমের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাই সতর্কতামূলক শর্তসাপেক্ষে ৬ ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও সব ডিম বাজারে বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
টিএইচ