শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, এএসপিসহ আহত ২০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, এএসপিসহ আহত ২০

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আওয়ামী লীগ-পুলিশ ও বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বেলকুচি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় কয়েকটি ককটেল ও উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরন্নবী প্রধানসহ তাদের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর জনসভা সফল করতে কামারখন্দে দলীয় কার্যালয়ে আমরা আলোচনা সভা করি। সেখানে কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, জেলা বিএনপির সভানেত্রী রুমানা মাহমুদ সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে আমরা রেলওয়ে স্টেশনে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশ আমাদের ওপর ছররা গুলি চালায়। এতে রুমানা মাহমুদ ও আমিসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হই।

কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয়। বরং তাদের মধ্যেই গ্রুপিং রয়েছে। দুই গ্রুপে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে স্টেশন এলাকায় আওয়ামী লীগের ৬-৭ জন নেতাকর্মীর ওপর তারা হামলা চালিয়ে আহত করে।

কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়, বাধ্য হয়ে ছররা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনায় তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান।

সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ বলেন, বিএনপি তাদের প্রোগ্রাম শেষ করে জামতৈল স্টেশন এলাকায় দোকান-পাট ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর শুরু করে। বাঁধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্রও ছিল। তাদের হামলায় আমি ও থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হই। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
টিএইচ