জাল সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বয়রা ভেন্নাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত রোববার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জামিন শুনানি শেষে বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ২০০১ সাল থেকে সদর উপজেলার বয়রা ভেন্নাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনের পর থেকে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছিলেন। তিনি যে সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছে সেটি জাল ছিল।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নুরুল আমিন ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মহাপরিচালক উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের দাখিল করা সনদ যাচাই-বাছাই করার জন্য ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর বগুড়া নট্রামস কলেজে পাঠানো হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ সনদটি যাচাই-বাছাই করেন।
তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস এম ফেরদৌস আলম ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়কে চিঠি দিয়ে অবহিত করেন যে, শিক্ষক রফিকুল ইসলামের দাখিল করা সনদ ভুয়া। পরে ২০২২ সালের ২৭ জুন রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
এ মামলার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
টিএইচ