নিরাপদ গবাদিপশুর মাংস উৎপাদনে লক্ষে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে বৃদ্ধি পেয়েছে পশুর খামার। এতে কোরবানির মাংসের উৎপাদনের পাশাপাশি সারাবছর মাংসের ঘাটতি পোষাতে খামারগুলো ভূমিকা রাখছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদার প্রেক্ষিতে শতভাগ প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাইয়ে কোরবানি পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরা।
গত রোববার সরেজমিনে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় এক খামারে ২ টি শেডে রাখা হয়েছে গরু। এই গরু কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। মাঝারি ও বড় গরু বেশি। গরু রাখার শেডটাও বেশ আধুনিক মানের। উপরে ফ্যান, পরিচ্ছন্ন মেঝে। গরুর গোবর প্রতি ঘণ্টায় পরিষ্কার করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৬৬টি খামারে ছোট-বড় বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ৪৪১টি গরু কোরবানির প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া মহিষ ৫টি, ছাগল ২৬টি, ভেড়া ৪টিসহ মোট ১ হাজার ৪৭৬টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়। অন্য দিকে এ উপজেলায় চাহিদা রয়েছে গরু-ছাগল মিলিয়ে ২ হাজার ৬৮০টি পশু।
উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের এক খামারি বলেন, আমার ফার্মে দেশি-বিদেশি জাতের ৭০টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি গরু কোরবানির জন্য লালন-পালন করে প্রস্তুত করেছি। সবগুলোই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। ঈদের আর মাত্র ৭ দিন বাকি থাকায় ইতোমধ্যে ক্রেতারা খামারে গরু দেখতে আসছেন। অনেকেই খামার থেকেই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দাম ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শবনম সুলতানা বলেন, এ উপজেলায় চাহিদা রয়েছে গরু-ছাগল মিলিয়ে ২ হাজার ৬৮০টি পশু। বাস্তবে এর চেয়ে অনেক বেশি গরু রয়েছে এই উপজেলায়। তাই কোরবানির জন্য পশু শর্ট পড়বে না।
টিএইচ