শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

সোনাতুলি ঘাটপাড় সেতু ভেঙে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

সোনাতুলি ঘাটপাড় সেতু ভেঙে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের মানিককাজি গ্রামে ফুলকুমার নদের উপর নির্মিত সোনাতুলি ঘাটপাড় সেতুটি ভেঙে মাঝে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ৪টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। 

জানাগেছে, সদর ইউনিয়নের মানিককাজি গ্রামে ফুলকুমার নদের উপর ১৯৯০-৯১ সালে প্রায় ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও আড়াই মিটার প্রস্তের একটি সরু সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির মাঝখানে ভেঙে বড় এক গর্তের সৃষ্টি হয়। সাবধান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু যানবাহন চলাচল নিষেধ’ লিখে একটি সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেয় স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর (এলজিইডি)। এতদিন এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করলেও যানবাহন ঢুকতে না পারায় কর্মজীবী মানুষ এবং এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। 

জানা গেছে, উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি ব্যবহার করেন ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের মানিককাজি, পূর্ব ও পশ্চিম ভোটহাট এবং জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউসমারি গ্রামের প্রায় ১৫/২০ হাজার লোক। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। 

সেতুটি ভেঙে যেকোন মুহুর্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা। মানিককাজি ঘাটপাড় বাজারের ব্যবসায়ী ওসমান, ওবায়দুল্লাহ ও মোখলেছ জানান, সেতুটিতে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কনজুমার প্রোডাক্টের মালামালের কোন কোম্পানির গাড়ি বাজারে ঢুকতে পারছে না। 

তাই উপজেলা সদর থেকে ব্যবসায়ীক মালামাল কিনতে হচ্ছে। তাতে দ্বিগুন পরিবহন খরচ হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা বাড়তি দামে পণ্য কিনতে চাচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু দ্রুত নির্মাণের জন্য জোড় দাবি জানিয়েছেন। 

ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার ইছাহাক আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে অনেক আগেই জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যে কোন মুহর্তে সেতুটি ভেঙে যেতে পারে। এই ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন জানান, সেতুটি পুণর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি। 

উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, ইতোমধ্যে সেতুটি নির্মাণের ব্যয় বিবরণী তৈরি করে দুটি প্রকল্প প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। আশা রাখি দ্রুত দরপত্র আহবান করে সেতুটির কাজ করা যাবে।

টিএইচ