টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের স্রোত সাগর থেকে আসা জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক, পুকুর জলাশয় ডুবে যায়।
একইসঙ্গে অবকাঠামো, মৎস্য, কৃষি, ব্যবসা সবখানে মারাত্মক আঘাত হেনেছে বন্যা। বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানি ও জোয়ারের পানিতে রাউজানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর গত ১১ আগস্ট রাউজানের উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি কমলেও রাউজানের নিম্নাঞ্চল এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে।
বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ও জোয়ারের পানিতে রাউজানের প্রতিটি এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডাবুয়া খাল, খাসখালী খাল, কলমপতি খাল, রাউজান খাল, মুকছড়ি খাল, হরনাথ ছড়া খাল, ভোমর ঢালা খাল, কেউচিয়া খাল ভাঙন সৃষ্টি হয়ে খালের ভাঙন দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়ে বসতবাড়ি, সড়ক, ফসলি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুকুর-জলাশয় ডুবে কোটি কোটি টাকার মাছ পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, বন্যায় রাউজানের জনগণের চলাচলের সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়ক ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পারিমাণ নির্ধারণ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখনো বেশিরভাগ সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
রাউজান উপজেলা মৎস্য অফিসার পিযুষ প্রভাকর বলেন, রাউজানে এক হাজারের বেশি পুকুর-জলাশয় পানিতে ডুবে কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, বন্যায় রাউজানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে আছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কাজ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পানি নেমে গেলে সম্পূর্ণভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা যাবে।
টিএইচ