কুমিল্লার দেবিদ্বার সড়কের ওপর পাঁচটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়কে আরসিসি ও কার্পেটিং ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হচ্ছে। এতে যানবাহন চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ পরিস্থিতিতে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত ১৯ নভেম্বর উপজেলার থানা গেট সংলগ্ন এলাকা হতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের বাস্তবায়নে দুলালপুর জিসি ভায়া আব্দুল্লাহপুর সড়কের পুরাতন বাজার অংশের সড়কে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরাও।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে দেবিদ্বার জিসি-দুলালপুর জিসি ভায়া আব্দুল্লাহপুর সড়ক (দেবিদ্বার অংশ)’র প্রায় ৮কিলোমিটার সড়কের আরসিসি ও কার্পেটিং কাজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয় চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি।
এটি শেষ করার কথা রয়েছে ২০২৫ সালের ১৬ জুলাইয়ে। কাজের এক পর্যায়ে এসে দেবিদ্বার পুরাতন বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৮ ফুটের সড়কের প্রায় ৪/৫ ফুট মাঝখানে বৈদ্যুতিক পাঁচটি খুঁটি রেখেই ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম কাউছার বলেন, সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটির থাকার কারণে চলাচল করতে গিয়ে নতুন করে দুর্ভোগ পোহাতে হবে হাজার হাজার পথচারীর। খুঁটির কারণে সড়কটি সরু হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের মধ্যে বৈদ্যুতিক পাঁচটি খুঁটি রেখে ঢালাই কাজ দেওয়া হয়েছে, এতে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। ১৮ ফুটের সড়ক করে তো লাভ হলো না। এছাড়া যেকোন মুর্হতে এটি বড় ধরণের দুর্ঘটনার কারণও হতে পারে। সড়ক থেকে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের দাবি জানান তিনি।
দেবিদ্বার জোনাল অফিস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. রেজাউল করিম খান বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য চিঠি ও খুঁটি সরানোর ফি পরিশোধ করা হলে খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করা হবে।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে সড়ক থেকে খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হবে।
টিএইচ
