শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

হরতাল-অবরোধে বিপাকে চলনবিলের কৃষকরা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি 

হরতাল-অবরোধে বিপাকে চলনবিলের কৃষকরা

চলনবিলাঞ্চলের নয়াবাজার শ্রমিকের হাট ঘুরে দেখা যায়, হরতাল আর অবরোধের কারণে দূরপাল্লার গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন বন্ধ থাকায় আসছে না শ্রমিক। হাটে স্থানীয় অল্প সংখ্যক শ্রমিক দাঁড়িয়ে থাকলেও বাজার দামের চেয়েও বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে শ্রমিক। এতে শ্রমিকের অভাবে ফসল নিয়ে বিপাকে কৃষকরা। 

শীতকালীন ফসল কাটা রসুন বপন ধান কাটা থেকে শুরু করে কাজের প্রচন্ড চাপে দিশেহারা চলনবিলের কৃষকরা। কিন্তু অবরোধের কারণে খুজে পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় কৃষিশ্রমিক। যে কারণে পরিবারের সকল সদস্য মিলে কাজ করতে হচ্ছে মাঠে। 

নাটোরের গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজারসহ শ্রমিকের ভ্রাম্যমাণ হাটগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। কার্তিক অগ্রাহায়ণে চলনবিল জুড়েই শুরু হয় আমন ধান কাটা আর রসুন রোপণের কাজ তাই কৃষক ও শ্রমিকরা নিজেদের প্রয়োজনেই ছুটে আসেন শ্রমিকের হাটে। মালিক শ্রমিকদের মধ্যে দরদাম শেষে চুক্তিবদ্ধ  হয়ে চলে যান কর্মস্থলে। কিন্ত এবারের দৃশ্য্যপট অন্য রকম। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া দাম, অবরোধ আর শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। 

গুরুদাসপুর উপজেলার চলনালী গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে হাটে শ্রমিকের সংখ্যা কম। তাই বাধ্য হয়ে বেশি মজুরি দিয়ে অল্প সংখ্যক শ্রমিক নিলাম। পরিবারের সদস্যরা মিলে কাজ করে পুঁষিয়ে নিবো কোন রকমে। তাছাড়া উপায় দেখছি না। কারন প্রতিদিন খাবারসহ মজুরি দিতে হবে ৫শ টাকা থেকে ৬শ টাকা। বিগত বছরে কম মূল্যে শ্রমিক পেতাম অবরোধের কারণে দ্বিগুন লাগছে মজুরি। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, অন্য বছর প্রতিদিন ভোর থেকে শ্রমিক আর গৃহস্তদের আনাগোনা শুরু হতো। এবছর মৌসুমের শুরুতেই অবরোধের কারণে দেখা মিলছে না দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের। এনিয়ে সমস্যার রয়েছেন মালিক শ্রমিক উভয়েরই। 

কয়েকজন শ্রমিক জানান,  ১০০ টাকার ভাড়া এখন ২০০ টাকা দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা কাজের আশায় এ হাটে আসছেন। দাম তো একটু বেশী দিতেই হবে। তাছাড়া আমরা চলবো কিভাবে।

শ্রমিকনেতা দুলাল শেখ বলেন, বছরের এ সময় সাধারণত অনেক এলাকায় কাজ থাকে না। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষেরা মিলে দল গঠন করে এ হাটে আসেন তারা কিন্তু অবরোধের কারণে এবার কেউ হাটে আসতে পারছে না। একারণে শ্রমিকের সংখ্যা কম।

ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘ কুড়ি বছর যাবত তার ইউনিয়নের নয়াবাজারে শ্রমিকের হাট বসছে। ধান কাটা ও রসুন রোপণের সময় এখন। এসময় যদি বাহিরের শ্রমিক না আসতে পারে তাহলে চলনবিলের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

টিএইচ