১৯৭১ সালের ৯ মার্চ এই দিনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পাকিস্তানি পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওই সময় এ পতাকা উত্তোলন করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ভাকারি ব্রিজ উড়িয়ে দেয়ার সেই দুঃসাহসীক অভিযানের নায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ১৬শ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি এক লাখ শরনার্থীর থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও করেন। ভারতের শীতলকুচিতে অবস্থিত নর্থ জোনের যুব মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণের প্রধান ছিলেন। এই দিনকে স্বরণ করতে প্রতি বছরের ন্যায় আজও হাতীবান্ধা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
হাতীবান্ধা ইউএনও আতিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্য বলেন, আমরা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এর সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। তরুণ প্রজন্মকে এসব নিয়ে জানাতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদেরই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর জব্বার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি রোকনুজ্জামান সোহেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম পল্লব, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন কমান্ডারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া।
টিএইচ