লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিমের ওপর গত বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা ফিলিং স্টেশন এলাকায় আলাউদ্দিন হোটেলের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মুন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
জানা গেছে, সাংবাদিক আব্দুর রহিম গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার শিকার হয়। এ ঘটনায় তিনি গত ৩ মার্চ বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেন। সেই মামলার একজন আসামি হলেন সির্ন্দুনা ইউনিয়ন আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন খাঁন। ওই মামলার জের ধরে আ.লীগ নেতা মোশারফ হোসেন খাঁনের পুত্র, আল-মদিনা ফার্মাসিটিক্যালসের স্থানীয় প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান খাঁন বিপ্লবের নেতৃত্বে কয়েকজন দলবদ্ধ হয়ে সাংবাদিক আব্দুর রহিমের ওপর হামলা চালায়।
অপর একটি সূত্র বলছে, কয়েকজন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাও এ সময় সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে মারধর করার ঘটনায় বিপ্লবকে পিছন থেকে সহযোগিতা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আ.লীগ নেতা মোশারফ হোসেন খাঁনের ছোট পুত্র মুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা প্রেস ক্লাব সভাপতি ইলিয়াস বসুনিয়া পবন জানান, আমরা থানা পুলিশকে অপরাধীদের ধরতে সময় দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারলে সাংবাদিকরা আন্দোলনে নামবে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী জানান, সাংবাদিক আব্দুর রহিমের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
টিএইচ