পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে গিয়ে প্রবাসী স্বামীকে মারধর করে প্রেমিক সাইদুর রহমান নোমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে পালিয়েছিলেন নববধূ।
এক সপ্তাহ পর সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরগুনার তালতলী থানা পুলিশ প্রেমিকসহ সেই নববধূকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) নববধূকে নিয়ে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় হানিমুনে যান প্রবাসী স্বামী মনিরুল ইসলাম (৩৫)। রাত ১১টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বিচে ঘুরতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক নোমানসহ তার সহযোগীরা প্রবাসী স্বামী মনিরুল ইসলামকে মারধর করে প্রেমিক সাইদুর রহমান নোমানের সঙ্গে চলে যায় ওই প্রবাসীর স্ত্রী। নোমান তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার আলাল হাওলাদারের ছেলে।
এ ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ ধরে নোমান ওই প্রবাসীর স্ত্রী প্রেমিকাকে নিয়ে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া গ্রামে শাহজাহান প্যাদার ছেলে হাসান প্যাদার (ছেলের ভগ্নিপতি) বাড়িতে আত্মগোপন করেন। সংবাদ পেয়ে সোমবার বিকেলে তালতলী থানা পুলিশ তাদেরকে ওই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া প্রবাসীর স্ত্রী বরগুনা সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদের মেয়ে নুরে জান্নাত।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, হানিমুনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে স্বামীকে মারধর শেষে সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক সেই আলোচিত প্রেমিক-প্রেমিকা তালতলীতে প্রেমিকের ভগ্নিপতির বাড়িতে আত্মগোপন করে। সংবাদ পেয়ে তালতলী থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানায় পাঠানো হয়েছে। সাবেক প্রেমিক কর্তৃক প্রবাসী স্বামীকে মারধরের ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
কেএস