শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলাজাত পণ্যের আমদানি, বেড়েছে দাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলাজাত পণ্যের আমদানি, বেড়েছে দাম

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ২১ দিন। ঈদকে সামনে রেখে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরাসহ অন্য মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমদানি কমের অজুহাতে বেড়েছে এসব পণ্যের দাম।

এই বন্দর দিয়ে আগে প্রতিদিন গড়ে ২-৩ গাড়ি মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি হতো। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫-৭ ট্রাকে। বন্দরটি দিয়ে প্রতিটন জিরা আমদানি হচ্ছে ৩ হাজার ১৩০ ডলার মূল্যে।

ঈদের একমাস আগে মশলার দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, আমদানিকারকরা দাম বৃদ্ধি করায় তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে তুলনামূলক বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পণ্য।

তবে আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকট এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানিকারকদের দাবি, বাংলাদেশে কোন পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেই, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কৌশলে সেসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। আর চাহিদা থাকায় নিরুপায় হয়ে আমরাও বেশি দামে আমদানি করতে বাধ্য হই।

হিলির স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাস আগে মানভেদে জিরা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে। এখন সেই জিরা কেজিতে ১৩০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৭১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কালো এলাচ ২৬০০ থেকে ২৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা কেজি দরে এবং সাদা এলাচ মাঝারি ৩৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৩৫০০ টাকা কেজি দরে, সাদা এলাচ বড় ধরনের ৪১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৪২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দারুচিনি, লং, গোল মরিচ, ধনিয়া, কালোজিরা কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত ভারতীয় ৩৮৩টি ট্রাকে ১০ হাজার ৭১৭ টন জিরা ও ১৬টি ট্রাকে ২৫৩ টন এলাচ এবং ২৪১টি ট্রাকে ৪১৩৭ টন আদা আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।

রংপুর থেকে হিলিতে ঘুরতে আসা আকবর আলী জানান, আমি এক মাস আগে হিলিতে ঘুরতে এসে তখন ৫৮০ টাকা কেজি দরে জিরা কিনেছিলাম। আজ হিলিতে একটি কাজে এসে সেই একই জিরা কিনলাম ৭০০ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি করা এসব পণ্য বন্দরে শেডে রাখার জন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রায় প্রতিদিনই বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে মসলা জাতীয় পণ্য প্রবেশ করছে এবং বন্দর থেকে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।

টিএইচ