শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
দেড় বছরে প্রশিক্ষণার্থী ছাত্র-ছাত্রী মাত্র ৪০ জন

২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সন্দ্বীপ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি

২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সন্দ্বীপ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ

বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের ১১ ভাগ আসে সন্দ্বীপের প্রবাসীদের কাছ থেকে, প্রাবাসীর দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা সন্দ্বীপ, এখানে রয়েছে প্রতি ঘরে একজন করে প্রাবাসী, তারা যাতে বিদেশে গিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে কাজ করতে পারে সে চিন্তা করে সরকার ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ গমনেচ্ছুকসহ বেকার যুবকদের স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের উত্তর পাশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৮ সালের   নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সনে কাজ শেষ হয়। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করেন। 

এতে বৈদেশিক শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের মাধ্যমে শিল্পখাতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারা দেশে কারিগরী প্রশিক্ষণের সুযোগ এবং কাজের ক্ষেত্র সমপ্রসারণ প্রভৃতি লক্ষ্য নিয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো দেশের ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ কর। 

৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে ১টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ১০টি ট্রেডে প্রতিবছর ৪০ হাজার ৯৬০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে এসব উপজেলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

দেড় একর জমিতে একাডেমিক ভবন, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমেটরি, শিক্ষক কোয়ার্টার, ছাত্রছাত্রীদের গাড়ি পার্কিং গ্যারেজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সাব-স্টেশন এবং জেনারেটর ও পাম্প হাউজ নির্মাণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের  ২৮ জুলাই গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।  চট্টগ্রামে রয়েছে ২ টি একটি রাউজান অপরটি  সন্দ্বীপ উপজেলায়।
কিন্তু প্রতিষ্ঠার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এটির রয়েছে আশার গুড়েবালী, উপজেলাটিতে প্রতি চারজনে একজন প্রবাসী হলেও ট্রেনিংয়ের জন্য তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না এখানকার জনসাধারণের মধ্যে, দেড় বছরে মাত্র ৯ জন জনবল দিয়েছে সরকার, আর পুরো সন্দ্বীপে ভর্তি হয়েছে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী। 

৮৫ জনের জনবল পদ সৃষ্টি থাকলেও বর্তমানে আছে অধ্যক্ষ, শিক্ষক ৩ জন, ওয়ার্কসফ ১, জন, হিসাবরক্ষক ১ জন, কম্পিউটার অপারেটর ১ জন ছাত্র-ছাত্রী ৪০ জন। উপজেলাবাসীর জন্য ২১ কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার এটি নির্মাণ করল কিন্তু প্রচার প্রচারণা করেও ছাত্র ছাত্রী আনা যাচ্ছে না। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোজাফফর আহমদ বলেন, আমি সন্দ্বীপ সেন্টারে জয়েন্ট করছি তিন মাস। এখানের ছাত্র ছাত্রী প্রশিক্ষণার্থী বাড়ানোর জন্য আমি প্রতিটি কলেজ ও বিদ্যালয়ে গিয়ে ভিজিট করেছি। প্রবাসীর দিকে বৃহত্তম হলেও ভর্তির আগ্রহকম দেখছি, সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সন্দ্বীপ সেন্টারে সব রকমের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। 

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, জনবল ও প্রশিক্ষণার্থী বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে, ইতোমধ্যে লিফলেটসহ প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে।

টিএইচ