নাব্যতা সংকটের কারণে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপত্র নদে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ২৮ দিন থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে গতবছরের ২৩ ডিসেম্বর ব্রহ্মপুত্র নদে পানির গভীরতা কম হওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সড়ক পথেও পণ্যবাহী পরিবহন যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ীরা। জনপ্রিয় এই রুট ব্যবহার করতে প্রতিদিন তিন দফায় ফেরি পারাপার হত পণ্যবাহী পরিবহনগুলো।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী আপেল জানান, অনেক দিন থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মালবাহী ট্রাক আসে না। এখানে মালবাহী ট্রাক ও অন্য গাড়ি আসলে চালক, হেলপারসহ যারা থাকতেন তারা এই ভাতের হোটেলগুলোতে খাওয়া দাওয়া করতেন। তাদের উদ্দেশ্য করেই এই হোটেলগুলোতে খাবারের ব্যবসা চলত। এখন ব্যবসা অনেক কমে গেছে।
ট্রাক চালক আতিক, ফরিদুল, হিমেল জানান, সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পাথর নিয়ে এই পথে দিয়ে যাতায়াতে খুব সুবিধা। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় রংপুর হয়ে ঘুরে যেতে হয়।
বিআইডব্লিউটি—এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, নতুন করে আবার ৪ কিলোমিটার পথে বালু চর পড়েছে এর আগে মন্ত্রণালয় থেকে কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তাদের দেয়া গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ চলছে। তবে খনন কাজ শেষ হতে একটু সময় লাগবে।
টিএইচ